ইলিশ শিকারের আগাম প্রস্ততি চলছে দশমিনার জেলে পল্লীতে
ইলিশ শিকারের আগাম প্রস্তুতি Pj‡Q `kwgbvi †R‡j cjøx‡Z
সাফায়েত হোসেন,
আষাঢ়ের অবিরাম বর্ষায়
সামনে ইলিশের ভরা মৌসুম। তাই নদী-সাগরে যাওয়ার জন্য দশমিনার প্রায় কয়েক হাজার জেলে জাল বুনন, ট্রলার
মেরামত ও পুরাতন জাল রিপু করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত বছর প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায়
এবার যেন আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে জেলে পল্লীগুলোতে। বিভিন্ন জনের কাছে ধার-দেনা করে
পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে ইলিশ ধরার। গত বছর নদীর বক্ষে
প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় এ বছরেও আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে কয়েক হাজার জেলেরা। ইলিশের মোকাম তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের যাওয়ার
পুর্ব প্রস্ততি চলছে। বসে নেই মহাজনসহ ট্রলার মালিকরাও। উপজেলার সবক’টি জেলে পল্লীতে এমন প্রস্তুতি লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে ছিটেফোটা ইলিশ
এখনই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। তবে আর কিছুদিন গেলেই শুরু হবে ইলিশ শিকারের ভরা
মৌসুম এমনটাই জেলেরা জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট
জেলে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৎস্য শিকারের জন্য বিভিন্ন এলাকায়
জেলেরা অন্তত শতাধিক নতুন ট্রলার তৈরি করছে। এরা সবাই এ বছর ইলিশ শিকারের যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
জেলে
শাহ আলম জানান, অন্যের সঙ্গে জীবনভর কাজ করেছেন। এবছর নিজেই
নদীতে বোট নামানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। বোট তৈরির কাজ এখন শেষের দিকে। জালসহ
বিভিন্ন সামগ্রী সংগ্রহ করা হয়েছে। আপর জেলে নাসির উদ্দিন জানান, আট লাখ টাকা ব্যায় করে তিনি একটি নতুন ট্রলার তৈরী করেছে। আনুষ্ঠানিক
ভাবে নদীতে যাওয়ার প্রস্তিতি নিচ্ছি। জেলে মাসুম হালাদার জানান, বাপ-দাদার মাছের পেশা এখনও ধরে রেখেছি। পেটের তাগিদে নদীতে নামতেই হবে।
বাঁশবাড়িয়া
ইউপি চেয়ারম্যান মো.আলতাব হোসেন আকন জানান, তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ পরা
শুরু করেনি। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারনে জেলেরা নদীতে যেতে পারছেনা। তবে আর কিছুদিন
গেলেই জেলেদের জালে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পরবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উপজেলা
মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম তালুকদার জানান, আগষ্ট-সেপ্টম্বর ও
অক্টোবর এই তিন মাস ইলিশের ভরা মৌসুম। জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকেই নদীতে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পরবে এমনটাই আশা করেছেন
তিনি।
