দশমিনার যত্রতত্র দোকানে মিলছে গ্যাস সিলিন্ডার, ঝুঁকিতে মানুষ
ডেষ্ক রিপোর্টঃ
সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে পটুয়াখালীর
দশমিনা উপজেলায় বিক্রি হচ্ছে পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার। এসব সিলিন্ডার
বিক্রির ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ। ওষুধের দোকান, মুদি দোকান ও কাপড়ের দোকানেও চলছে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি।
সরেজমিনে উপজেলার গ্রামাঞ্চলের
হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে অন্তত তিন শতাধিক দোকানে দেদারছে চলছে এলপি গ্যাস
সিলিন্ডার বিক্রি। অথচ উপজেলায় এলপি গ্যাস ব্যবসার জন্য লাইসেন্স রয়েছে ১০ টির মতো।
বরিশাল বিভাগীয় বিস্ফোরক পরিদপ্তর সূত্র জানায়, সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার
বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধা পাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের
অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা-সংক্রান্ত লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার এবং মজবুত ও
ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী ওই সব শর্ত পূরণ করলেই কেবল এলপি
গ্যাস বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন। লাইসেন্স ছাড়া কোনও দোকানে এলপি
গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করা যাবে না।
২০০৩ সালের দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি যদি লাইসেন্স না
নিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবসা করে তবে তার তিন বছরের কারাদণ্ড ও অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে
দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।
প্রয়োজনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত মালামাল বাজেয়াপ্ত করা যাবে। কিন্তু এই আইন কেউই মানছেন না।
দশমিনা উপজেলার লক্ষীপুর এলাকার সাবু জোমাদ্দার, সবুজ বাগ এলাকার রহমত উল্লাহ ও আদমপুর এলাকার নাসির সহ একাধিক
ব্যক্তি প্রতিনিধিকে জানান, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ক্ষেত্রে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দেয়া দরকার।
নজরদারি না থাকার কারণে যত্রতত্র চলছে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি। ফলে সাধারণ
মানুষ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
লাইসেন্সধারী গ্যাস বিক্রেতা দেশ এন্টারপ্রাইজ ও ব্যাতিক্রম ষ্টোরস প্রতিনিধিকে
জানান, গ্যাস সিলিন্ডার
অনেকটা বোমার মতো। গ্যাস বিক্রি করতে হলে অবশ্যই পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স, বিস্ফোরক লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তা না
হলে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে পারবে না।
তারা আরও বলেন, বিস্ফোরক লাইসেন্স নিতে অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু অবৈধ ব্যবসায়ীদের
কারণে বৈধ ব্যবসায়ীদের বিক্রি কমে গেছে।
দশমিনা উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও
সিভিল ডিফেন্স ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর প্রতিনিধিকে বলেন, লাইসেন্স ছাড়া যারা ব্যবসা করছে
তাদেরকে আমরা লাইসেন্স করতে বলছি। এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া গ্যাস ব্যবসায়ীদের
সিলিন্ডার না দিতে ডিলারদেরকে নির্দেশ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার
শুভ্রা দাস বলেন, বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া এলপি গ্যাস
সিলিন্ডার যারা বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।
