চর ফ্যাশনে এ্যাসিডে ঝলসে গেল স্কুল ছাত্রী
চরফ্যাশনের রসুলপুর গ্রামে গভীর
রাতে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী আয়েশাকে এ্যাসিডে ঝলেসে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার দিবাগত
রাত সারে ৩টায় জানাল দিয়ে ঘুমান্ত আয়েশার উপর এ্যাসিড ছুঁড়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে
যায়। এ্যাসিড আক্রন্ত আয়েশাকে সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টায় চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়েছে। আয়েশাকে স্থানীয় শশীভূষন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী এবং
৩নং ওয়ার্ডের বাবুল পন্ডীতের মেয়ে।এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ জনকে আটক করেছে
শশীভূশন থানা পুলিশ। শশীভূষন থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে
শশীভূষন থানার ওসি মোঃ হানিফ সরদার।ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লাল মোহন সার্কেল)
রাসেলুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ও আয়েশার স্বজনেরা জানায় রোববার
রাতে দাদা মন্নান খনকারের ঘরের একটি কক্ষে
একাই ঘুমিয়ে ছিলেন আয়েশা ঐ কক্ষের জানালার
দরজা খোলা ছিল। ঐ খোলা দরজা দিয়ে রাত ৩ টা
সময় কে বা কাহারা এ্যাসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়। নিক্ষিপ্ত এ্যাসিডে আয়েশার মুখের ডান
চেয়াল ও গলা, ডান হাতের বেশীর ভাগ অংশ এবং পায়ের উর্ধাংশ ঝলসে যায়।চরফ্যাশন
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আয়েশা জানান রাকিব , আইমান ও জুলহাস নামের তিন যুবক স্কুল ও
কোচিং এ আআসা যাওয়ার পথে তাকে উক্ত্যক্ত
করত। তাদের কেউ এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সে জানায়। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ
ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায় আয়েশা একই
সাথে স্কুল কলেজে পড়ুয়া একাধিক কিশোর ও যুবকের সাথে প্রেম-প্রনয়ে
জড়িয়ে ছিল।বহু প্রেমের অনাকাঙ্ক্ষিত
পরিনতি হিসাবে এ ঘটনার জন্ম। শশীভূশন থানার ওসি মোঃ হানিফ সিকদার জানান সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোন
এজাহার দায়ের করা হইনি।। তবে ভিকটিমের দেয়া তথ্য অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য
শশিভূষণ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র রাকিব ও জুলহাস কাসেম গঞ্জ স্কুলের ১০ম শ্রেনীর
ছাত্র আইমান এবং কলেজ ছাত্র তমাল ও খালেদকে আটক করা হয়েছে। আটক শিক্ষার্থিরা আয়েশার সাবেক ও বর্তমান
প্রেমিক।
