শিরোনাম

ঢাকা কলেজের একসময়কার তুখোড় ছাত্রনেতা, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সুদক্ষ সংগঠক মিজানুর রহমান মিজান ভাই

যুবলীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান
“যে কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ আবার ক্ষমতায় আসবে এবং আমার জন্যই আওয়ামীলীগ” শ্লোগানকে সামনে রেখে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মিজানুর রহমান বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে হ্যান্ডবেল বিতরণের মাধ্যমে এ প্রচারনা শুরু করেছেন।
প্রথমেই তার ব্যতিক্রমধর্মী প্রচারনা শুরু করা হয়েছে আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের একমাত্র পছন্দের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর পক্ষে ‘আমরাই গড়বো-আগামীর বরিশাল’ শিরোনামে মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে হ্যান্ডবেল বিলি করে।
এরপর তিনি (মিজানুর রহমান) তার নির্বাচনী আসন বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) উপজেলার প্রত্যেকটি হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কয়েক লাখ হ্যান্ডবেল বিলির মাধ্যমে এ প্রচারনা শুরু করেছেন।
আমার জন্যই আওয়ামীলীগ ॥ হ্যান্ডবেলে যুবকদের ছবি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে-‘আমাদের দিয়েছে কর্মসংস্থান’। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের সময়-যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কম্পিউটার হাইটেক পার্ক স্থাপন, ব্রডব্যান্ডের সম্প্রসারণ ৪০ শতাংশে উন্নীতকরণ ও তথ্য প্রযুক্তিকে তরুনদের দাড়প্রান্তে নিয়ে যাওয়া।
নারীদের ছবি দিয়ে হ্যান্ডবেলে উল্লেখ করা হয়েছে-পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইন ২০১০ প্রণয়ণ, নারীর অর্থনৈতিক প্রাপ্তি বৃদ্ধিকরণ, জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট প্রণয়ণ, মাতৃত্বকালীণ ভাতা ও ছুটি ছয়মাসে উন্নীতকরণ, নারীর মত প্রকাশের মাধ্যমে সম্প্রসারণ।
বৃদ্ধদের ছবি দিয়ে হ্যান্ডবেলে উল্লেখ করা হয়-পিতা-মাতার ভরণ পোষণ ২০১৩ প্রণয়ণ, বয়স্ক ভাতা বৃদ্ধিকরণ, বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস নির্মাণ, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করণ ইত্যাদি।
যে কারণে আওয়ামীলীগ আবার ক্ষমতায় আসবে ॥ এ ব্যাপারে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোকিত মুলাদীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের (১৯৯৩-১৯৯৭) সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সারাদেশের সচেতন নাগরিকরা চান উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখার জন্যই আবার আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আসতে হবে। সারাদেশসহ পৃথিবীর বহু দেশে শেখ হাসিনার জয়জয়কার ধ্বনি উঠেছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। কৃষি, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন, সড়ক-সেতু, রেল, নৌ ও স্থানীয় যোগাযোগ অবকাঠামো, তথ্য প্রযুক্তি, সামাজিক নিরাপত্তা, ভূমিহীনদের ভূমিদান, নারী ও শিশু উন্নয়ন, পল্লী উন্নয়ন, সমবায়, বস্ত্র, পাট, প্রতিরক্ষা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, সংস্কৃতিসহ সবক্ষেত্রেই ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বর্তমান সরকারের সময়ে। এছাড়াও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়ন, বর্তমানে মাদক বিরোধী চলমান অভিযান। এতো উন্নয়ন ১৯৭৫ সালের পর আর কখনও হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগেই মাতৃভাষা বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় মর্যাদা লাভ করেছে। বর্তমান সরকারের আমলেই দেশ সর্বপ্রথম খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। মানবাধিকার নিশ্চিত করতে গঠণ করা হয়েছে কার্যকর স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে রোল মডেল এখন বাংলাদেশ।
দেশের সাধারণ মানুষ চায় উন্নয়ন-আওয়ামীলীগ তা করতে পারার কারণেই দেশ আজ মধ্যমায়ের দিকে এগিয়ে গেছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। দেশজুড়ে উন্নয়নের জোয়ারের কারনে মানুষ নৌকার উপর বিশ্বাসী হয়ে গেছে।
মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের উচিত চারদিকে যে এতো উন্নয়ন হচ্ছে-তা সবাইকে জানিয়ে দেয়া। তাতে দেশের আশাহত ও দিশেহারা মানুষগুলো ভরসা পাবেন। ২০১৯ এর একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সাধারণ মানুষ যোগ্য দলকে জয়ী করবে। বিদেশের মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখে খুশি হয়ে একের পর এক পুরস্কার আর উপাধি দিয়েছেন।
বরিশাল-৩ আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মিজানুর রহমান বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে-রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তিনি ‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’। কাজেই আমি মনে করি, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে জয়ী করাটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। অতীতে দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হলেও বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের সময় সেই কথা এখন আর কেউ বলতে পারছেন না।
মানব উন্নয়ন জরীপে বিশ্বের প্রথম পাঁচটি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ চলে এসেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিচারের রায় কার্যকরের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিডিআর ট্রাজিডির সাথে জড়িতদের বিচার শেষ হয়েছে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের একের পর এক রায় ঘোষণা এবং কার্যকর হয়েছে। দেশের সবক’টি উপজেলা, পৌরসভা ও তৃণমূল পর্যায়ের ইউনিয়ন পরিষদকে আনা হয়েছে ইন্টারনেটের আওতায়। ১৩ কোটি মানুষ আজ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে।
মিজানুর রহমান সাধারণ জনগনের প্রতি প্রতিটি নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন-“চলমান উন্নয়নের সাথে থাকুন-উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়তে দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র উপর আস্থা রাখুন”। বাংলাদেশের ভাষা আন্দলন থেকে শুরু করে এদেশের মুক্তি সংগ্রামে যে দল অগ্রভাগে থেকে এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছে সেই দলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। বিনা দ্বিধায় বলা যায়-বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ আর শেখ হাসিনা মানে উন্নয়ন।
শেখ হাসিনার জন্যই আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত বাংলাদেশ। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ আরও সমৃদ্ধশালী হবে। সবকিছু মিলিয়ে বলা যায় উন্নয়নের প্রশ্নে বাংলাদেশের আর পেছন ফেরার অবকাশ নেই।
মাহাথির মোহাম্মদের উদাহরণ দিয়ে মুলাদী ও বাবুগঞ্জ উপজেলার একমাত্র নৌকার কান্ডারী মিজানুর রহমান বলেন, মাহাথির সাহেবের মালোশিয়াকে গোছাতে সময় লেগেছিল ২২ বছর। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে উন্নীত করার যে রূপকল্প শেখ হাসিনার সরকার গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়নে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে উজ্জীবিত সকল নাগরিকের দায়িত্ব নৌকা প্রতীককে বারবার নির্বাচিত করা। তবেই সফলতা অর্জনে এগিয়ে যাবে আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশ।
আওয়ামীলীগের এত এত উন্নয়ন পূর্ণরায় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। গত ৯ বছরের কাজগুলো প্রতিটি জনগনের কাছে তুলে ধরতে হবে।
বাঙ্গালী বেঈমান জাতি নয় উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, এদেশের শান্তিকামী সাধারণ জনগন ২০১৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে অব্যশই জয়ী করবে। কারণ দেশবাসী চায় মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা। এরজন্য যত কঠিন ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হোক তা নিতে একটুও পিছ পা হচ্ছেন না আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের উন্নয়নে বাঁধাগ্রস্থ করতে একাধিকবার শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হলেও এদেশের মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসা, দোয়া ও সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় তিনি (শেখ হাসিনা) সাধারণ জনগনের জন্য এখনও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সাদামাটা জীবন-যাপনে অভ্যস্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন।
প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর তিনি কোরআন তেলোয়াত করেন। বিশেষ দিনগুলোতে নিজের হাতে রান্না করেন। এরকম সহজ সরল জীবন যাপন করা প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীর আর কোথাও নেই। কারণ আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মনে করেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি রাজনৈতিক দল। এর ঐতিহ্যের সাথে দেশবাসীর রক্তের অংশীদারিত্ব রয়েছে।