হেরেও মাথা উঁচু করেই মাঠ ছাড়ল জাপান
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বেলজিয়ামকে শেষ পর্যন্ত থামাতে পারেনি এশিয়ার
প্রতিনিধি জাপান। রাশিয়ার রোস্তভ অ্যারেনা স্টেডিয়ামে অতিরিক্ত সময়ের শেষ
মুহূর্তের গোলে জাপানকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিলেন
রবার্তো মার্টিনেজের শিষ্যরা। ব্লু সামুরাই এবং রেড ডেভিলসের ম্যাচটি ছিল
উত্তেজনায় ঠাসা। ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলানোর এ ম্যাচে জাপান হারলেও মুগ্ধতা
ছড়িয়েছে।
গতকাল সোমবার হাইভোল্টেজ ম্যাচে বেলজিয়ামের পক্ষে গোল করেন ভার্তোনগেন, ফেলানি এবং নাসির শাদলি। আর জাপানের হয়ে দুটি গোল করেন হারাগুচি ও তাকাশি ইনুই। এ জয়ের ফলে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল এডেন হ্যাজার্ড বাহিনী। সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ব্রাজিল।
গ্রুপ পর্বে কলম্বিয়াকে হারিয়ে ফুটবল বিশ্বে নিজেদের ভয়ঙ্কর রূপটা দেখিয়েছি জাপান। দ্বিতীয় রাউন্ডে রাশিয়া বিশ্বকাপের হট ফেভারিট বেলজিয়ামে কাছে অনেকটা তুচ্ছ হিসেবে মাঠে নামেন আকিরা নিশিনোর শিষ্যরা। তবে এদিন মাঠে নেমে প্রথম থেকেই বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে ব্লু সামুরাইরা। সেই সঙ্গে বেলজিয়ামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একের পর এক পাল্টা আক্রমণ করে ওসাকা- হোন্ডারা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে ম্যাচের প্রথম আক্রমণ করে বেলজিয়াম। কর্নার কিক থেকে আসা বল তালুবন্দি করেন জাপানের গোলরক্ষক কাওয়াসিমা। ২৩ মিনিটে বেলজিয়ামের স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু বল নিয়ে ডি-বক্সের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে জাপানের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় ব্যর্থ হন। ম্যাচের প্রথমার্ধের ২৮ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত রেড ডেভিলসরা। কিন্তু কেভিন ডি ব্রুইনের বাড়ানো বলে ডিফেন্ডার ভিনসেন্ট কোম্পানি লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিলে আর গোল করা সম্ভব হয়নি।
এরপর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও প্রথমার্ধে কোনো দলই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই খেলার গতি বাড়ায় দুদল। দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে সিবাসাকির বাড়ানো বলে গেনকি হারাগোচি গোল করলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মাকোতো হাসেব বাহিনী। চার মিনিট পরেই কাগায়ার পাসে তাকাশি ইনুয়ের ডি-বক্সেও বাইরে থেকে নেয়া দুর্দান্ত শটে বল জালে জড়ালে ব্যবধান দ্বিগুণ করে জাপানিজরা।
এরপর ম্যাচের ফিরে আসতে একের পর এক আক্রমণ চালায় এডেন হ্যাজার্ডের দল। শেষ পর্যন্ত সফলতা আসে ম্যাচের ৭১ মিনিটে। কর্নার কিক থেকে আসা বল জাপানের ডি-বক্সে কিছুক্ষণ দুদলের ফুটবলাররা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করলে সেখানে বল পেয়ে যান বেলিজিয়ামের ডিফেন্ডার জ্যান ভার্তোনগেন। দুর্দান্ত এক হেডে বল জালে জড়ালে ব্যবধান কমায় রেড ডেভিলসরা। তিন মিনিট পর ফেলানির করা গোলে সমতায় ফেরে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বরে থাকা দলটি। অধিনায়ক এডেন হ্যাজার্ডের পাসে ফেল ডিফেন্স থেকে উঠে এসে গোল করেন ফেলানি।
৮৫ মিনিটে এগিয়েই যাচ্ছিলেন রবার্তো মার্টিনেজের শিষ্যরা। কিন্তু জাপানিজ গোলরক্ষকের দুর্দান্ত সেভে গোল পায়নি বেলজিয়াম। ৮৭ মিনিটে ভার্তোনগেনের নেয়া শট ফের আটকে কাওয়াসিমা। অতিরিক্ত সময়ে মাত্র সেকেন্ডে বাকি থাকতে কাউন্টার অ্যাটাকে দুর্দান্ত এক গোল করে ব্যবধান ৩-২ করেন নাসের শাদলি। এর ফলেই জয় নিশ্চিত হয় বেলজিয়ামের। হারলেও মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়ে এশিয়ার প্রতিধিনিরা। Collected.....
গতকাল সোমবার হাইভোল্টেজ ম্যাচে বেলজিয়ামের পক্ষে গোল করেন ভার্তোনগেন, ফেলানি এবং নাসির শাদলি। আর জাপানের হয়ে দুটি গোল করেন হারাগুচি ও তাকাশি ইনুই। এ জয়ের ফলে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল এডেন হ্যাজার্ড বাহিনী। সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ব্রাজিল।
গ্রুপ পর্বে কলম্বিয়াকে হারিয়ে ফুটবল বিশ্বে নিজেদের ভয়ঙ্কর রূপটা দেখিয়েছি জাপান। দ্বিতীয় রাউন্ডে রাশিয়া বিশ্বকাপের হট ফেভারিট বেলজিয়ামে কাছে অনেকটা তুচ্ছ হিসেবে মাঠে নামেন আকিরা নিশিনোর শিষ্যরা। তবে এদিন মাঠে নেমে প্রথম থেকেই বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে ব্লু সামুরাইরা। সেই সঙ্গে বেলজিয়ামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একের পর এক পাল্টা আক্রমণ করে ওসাকা- হোন্ডারা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে ম্যাচের প্রথম আক্রমণ করে বেলজিয়াম। কর্নার কিক থেকে আসা বল তালুবন্দি করেন জাপানের গোলরক্ষক কাওয়াসিমা। ২৩ মিনিটে বেলজিয়ামের স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু বল নিয়ে ডি-বক্সের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে জাপানের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় ব্যর্থ হন। ম্যাচের প্রথমার্ধের ২৮ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত রেড ডেভিলসরা। কিন্তু কেভিন ডি ব্রুইনের বাড়ানো বলে ডিফেন্ডার ভিনসেন্ট কোম্পানি লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিলে আর গোল করা সম্ভব হয়নি।
এরপর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও প্রথমার্ধে কোনো দলই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই খেলার গতি বাড়ায় দুদল। দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে সিবাসাকির বাড়ানো বলে গেনকি হারাগোচি গোল করলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মাকোতো হাসেব বাহিনী। চার মিনিট পরেই কাগায়ার পাসে তাকাশি ইনুয়ের ডি-বক্সেও বাইরে থেকে নেয়া দুর্দান্ত শটে বল জালে জড়ালে ব্যবধান দ্বিগুণ করে জাপানিজরা।
এরপর ম্যাচের ফিরে আসতে একের পর এক আক্রমণ চালায় এডেন হ্যাজার্ডের দল। শেষ পর্যন্ত সফলতা আসে ম্যাচের ৭১ মিনিটে। কর্নার কিক থেকে আসা বল জাপানের ডি-বক্সে কিছুক্ষণ দুদলের ফুটবলাররা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করলে সেখানে বল পেয়ে যান বেলিজিয়ামের ডিফেন্ডার জ্যান ভার্তোনগেন। দুর্দান্ত এক হেডে বল জালে জড়ালে ব্যবধান কমায় রেড ডেভিলসরা। তিন মিনিট পর ফেলানির করা গোলে সমতায় ফেরে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বরে থাকা দলটি। অধিনায়ক এডেন হ্যাজার্ডের পাসে ফেল ডিফেন্স থেকে উঠে এসে গোল করেন ফেলানি।
৮৫ মিনিটে এগিয়েই যাচ্ছিলেন রবার্তো মার্টিনেজের শিষ্যরা। কিন্তু জাপানিজ গোলরক্ষকের দুর্দান্ত সেভে গোল পায়নি বেলজিয়াম। ৮৭ মিনিটে ভার্তোনগেনের নেয়া শট ফের আটকে কাওয়াসিমা। অতিরিক্ত সময়ে মাত্র সেকেন্ডে বাকি থাকতে কাউন্টার অ্যাটাকে দুর্দান্ত এক গোল করে ব্যবধান ৩-২ করেন নাসের শাদলি। এর ফলেই জয় নিশ্চিত হয় বেলজিয়ামের। হারলেও মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়ে এশিয়ার প্রতিধিনিরা। Collected.....
