সংবাদ প্রকাশের জের দশমিনায় যুগন্তর পত্রিকার সাংবাদিক ফোরকানকে প্রকাশ্যে জিব কেটে হত্যার হুমকি মৎস্য কর্মকর্তা
সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যুগান্তরের পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা প্রতিনিধি এইচ এম ফোরকানকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্র্ত মাহাবুব আলম তালুকদার ঝান্ডা। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাংবাদিকেরা বিক্ষোভ মিছিল ও আবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছে।
গতকাল সোমবার দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-সংলগ্ন সামনের সড়কের মেসার্স মৃধা ষ্টোরের সামনে ওই ঘটনা ঘটে। ওই সময় দশমিনা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিপন কর্মকার ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সোহাগ উপস্থিত ছিলেন.
রিপন কর্মকার বলেন,গতকাল দৈনিক কালেরকন্ঠের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি এমরান হাসান একটি মানহানির মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য আদালতে আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রথম আলোর বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান ও যায়যায়দিনের প্রতিনিধি কামরুল হাসান।খবর পেয়ে তাঁরা এমরান হাসানের সঙ্গে দেখা করার জন্য অদালত এলাকায় উপস্থিত হন। এমরান হাসান আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাঁরা সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন। সোয়া ১২ টার দিকে মোটরসাইকেলে করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম তালুকদার তাঁদের সামনে এসে মোটরসাইকেল থামান। এরপর সাংবাদিক ফোরকানকে উল্লেখ করে বলেন,তুই আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করছোস, তোর জিব টেনে ছিড়ে ফেলবো,তোকে খুন করে ফেলবো। মৎস্য কর্মকর্তার ডাক-চিৎকার শুনে উপজেলা পরিসদের ভাইস চেয়ারম্যান ফখরুজ্জামান বাদলসহ স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে এবং মৎস্য কর্মকর্তাকে নিভৃত করেন।
খবর পেয়ে ছুটে আসে স্থানীয় সাংবাদিকেরা। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে তাঁরা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করেন। ইউএনও সুভ্রা দাস এসে ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ^াস দিলে সাংবাদিকেরা অবস্থান ধর্মঘট সাময়িকভাবে স্থগিত করেন।
উল্লেখ্য ২১ জুলাই (শনিবার) দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ১৬ পাতায় দশমিনার কর্মকর্তাকে ঘূষ দিলেই ঝাটকা ধরার অনুমতি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।