ছাত্রীকে পুত্রবধু করতে তুলে নেয়ার হুমকি
অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে জোড় পূর্বক
বিয়ে করার হুমকি দেয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ছাত্রীর বাবা-মা। আতংকিত
হয়ে এখন মেয়েকে স্কুলে একা পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার
ধুলাসার ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ভীতসন্ত্রস্ত ছাত্রীর পিতা
কাঞ্চন গাজী এ ঘটনার বিচার চেয়ে শনিবার (২২ জুলাই) ইউপি চেয়ারম্যান ও
স্কুল শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার চর চাপলী ইসলামিয়া
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) পুত্রবধু করার জন্য ওই
ছাত্রীর পিতা কাঞ্চন গাজীকে প্রস্তাব দেন নিজাম হোসেন ও তার স্বজনরা।
কিন্তু সে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মেয়েকে তুলে নিয়ে বিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়
তারা। এ ঘটনায় ভীতসন্ত্রস্ত ছাত্রীর পিতা ধুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান আঃ জলিল
আকন ও চর চাপলী ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে মেয়ের
নিরাপত্তা দাবি করেছেন।
স্কুল ছাত্রীর পিতা কাঞ্চন গাজী বলেন,
পেশায় মৎস্য ব্যবসায়ী হলেও তার ইচ্ছা মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন।
কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় নিজাম হোসেনের ছেলের সাথে তার মেয়ের বিয়ের
জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। তাই পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিষয়টি শনিবার
চেয়ারম্যান মহোদয়কে জানিয়েছেন। তিনি একাকী মেয়েকে স্কুলে পাঠাতেও ভয়
পাচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে তিনি এখন মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন এবং ছুটির পর
বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।
চর চাপলী ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক গাজী আলী আহমেদ জানান, এ বিষয়টি তিনি আগেই জেনেছেন। ছাত্রীর
নিরাপত্তার দায়িত্ব স্কুলের শিক্ষকরা নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও বিয়ের জন্য
চাপ দেয়া হচ্ছে বলে ছাত্রীর পিতা তাদেরকে অবহিত করেছেন। ছাত্রীর লেখাপড়া
চালু এবং যাতে বাল্যবিয়ে না হয় সেজন্য তারাও বিষযটি স্থানীয় গন্যমান্য
ব্যক্তিদের জানিয়েছেন এবং নিজাম হোসেনের ছেলেকেও তারা সতর্ক করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে নিজাম হোসেনের সাথে একাধিকবার
মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার এক স্বজন
জানিয়েছেন, বিয়ে না দিলে তুলে নেয়ার কথাটি হাসি ঠাট্রায় বলা হয়েছে। কোন
ধরণের চাপ প্রয়োগ করা হয়নি।