নগরীতে গণধর্ষিত কলেজ ছাত্রীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শুক্রবার রাতে তাকে
শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস ইউনিট থেকে সার্জারি ওয়ার্ডে
স্থানান্তর করা হয়েছে। কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায় রাত
৮টার দিকে ঐ ছাত্রীর শারিরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সার্জারি ওয়ার্ডে
স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে শনিবার সকালে সরকারী বিএম কলেজের সচেতন শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত
ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন
করে। বিক্ষোভ মিছিলটি কলেজের সামনে সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ক্যাম্পাসের জিরো
পয়েন্টে সাধারন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন
শিক্ষার্থী এনামুল হক, কাজল আহম্মেদ, ইয়াছির আরাফাত, তানভির আহম্মেদ সহ
অন্যান্যরা। বক্তারা ধর্ষনের সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
কোতয়ালী মডেল থানার সহকারী কমিশনার শাহানাজ পারভীন জানান এ ঘটনায় ঐ ছাত্রীর
মা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতেই চার জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি
জানান ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকেই আটক করে এবং শনিবার আদালতে
আটককৃতরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত ঃ শুক্রবার দুপুরে নগরীর কাশিপুর গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওই
শিক্ষার্থী বিএম কলেজ এলাকায় বয়ফ্রেন্ডের কাছে নোট নিতে এসে গণধর্ষণের
শিকার হয়। পুলিশ এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো-ঘটনার
মূলহোতা বিএম কলেজ এলাকার মৃত বাবুল মল্লিকের পুত্র ৮টি মামলার পলাতক
আসামি রায়হান মল্লিক রাব্বি, মানিক শেখ এবং বিএম কলেজের ছাত্র সাইফুল ইসলাম
সজিব ও নিজাম উদ্দিন বেপারী।