শিরোনাম

ভাঙ্গনের মুখে দশমিনা উপজেলার দুইটি আবাসিক এলাকা


ভাঙ্গনের মুখে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার দুইটি আবাসকি এলাকা। উপজেলা সদর এলাকা দুইটি রক্ষায় কর্তৃপক্ষ এ যাবৎ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বাজার সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী দশমিনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিছন  সবুজবাগ ও চরহোসনাবাদ এলাকার ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়ে চলছে। ভুক্তভোগীরা আবেদন নিবেদন করেও কোন সুফল পায়নি। জানা যায়, উপজেলা সদর বাজারে থেকে দক্ষিণে দশমিনা, আরজবেগী, লক্ষ্মীপুর ও সৈয়দ জাফরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর সাথে মিশেছে।
অপরদিকে একই খালের আরেকটি মুখ দশমিনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিছন দিয়ে দশমিনা-চরহোসনাবাদের মধ্যে দিয়ে হাজির হাট সংলগ্নে তেঁতুলিয়া নদীতে গিয়ে মিশেছে। নলখোলা, মাছুয়াখালী, বড়গোপালদী, নেহালগঞ্জ, দক্ষিণ আদমপুর ও চরহোসনাবাদসহ ছয়টি গ্রামের পানি চলাচল করায় তীব্র স্রোতে খালের দু’পাড় ব্যাপক ভাংগন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ঐতিহ্যবাহী দশমিনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিছন ও সবুজবাগ এলাকার বেশ কয়েক স্থান ভেঙ্গে গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান এ খালটির একমুখে বাধ ছিল এ বাধের ফলে স্রোতের তীব্রতা কম থাকায় ভাঙ্গনের পরিমান ছিল কম। কিন্তু দু একজন ব্যবসায়ীর স্বার্থ রক্ষার্থে খালটির বাঁধ কেটে ফেলায় পানির তীব্রতা অনেকগুন বেড়েছে। এমনটি বজায় থাকলে সবুজবাগ ও চরহোদনাদের দুটি গুরুত্বপুর্ন সড়ক ও কিছু বাড়ি অচিরেই ভেংগে যাবে বলে এলাকাবাসীর দাবী। সরে-জমিন ঘুরে দেখা গেছে চরহোসানাবাধের রাস্তাটির  অনেক স্থানই ভেঙ্গে গেছে স্থানীয় জনগন বাঁশ ও গাছ দিয়ে ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা  করলেও তা স্রোতের তীব্রতায় রক্ষা পাচ্ছেনা। বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। অথচ এই রাস্তাটি দশমিনার একটি গুরুত্বপূর্ন রাস্তা, এ পথ দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে দশমিনা সরকারী আব্দুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রী কলেজ ও চরহোসনাবাদ ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা সহস্রাধিক শিক্ষার্থী/ স্থানীয় জনগন কোমলমতি শিশুরা যাতায়াত করে।
এ বিষয় দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলেন উভয় পার্শ্বের রাস্তার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলে জানানো হয়েছে।