শিরোনাম

দশমিনায় টানা বর্ষণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত



গত ৪/৫ দিনের টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীর দশমিনায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা হয়ে পড়েছে ব্যাহত। টানা বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থী, কর্মজীবীসহ খেটে খাওয়া মানুষ। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা হয়ে আছে । যানবাহন চলাচল করছে সীমিত। অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বন্ধ। যেসব প্রতিষ্ঠান খুলেছে তারাও ক্রেতা শূন্য অলস সময় পাড় করছে। গত কয়েকদিনের তীব্র তাপ প্রবাহসহ খরার পর টানা বৃষ্টিতে কৃষকের জমিতে পানি জমায় চাষাবাদ সুবিধাজনক হলেও অনেক বীজতলায় পানি জমে গেছে। সবজি খেতে পানি জমায় তা নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অনেক কৃষক। পুকুর ও ঘেরের চাষকৃত মাছ নিয়েও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন মৎস্য চাষিরা। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে মাছ বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের একাধিক কৃষকরা জানান, তাদের জমির বীজতলায় পানি জমে গেছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহন করলেও তা কাজে আসছে না। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বীজে পচন ধরার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
বৃষ্টির পানি জমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়ায় সাধারণ গৃহস্থালী কাজ হচ্ছে ব্যাহত। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত মানুষের রান্না ঘরে পানি জমে যাওয়ায় তারা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে শিক্ষার্থীরা পড়ছেন নানা ভোগান্তিতে। বিশেষ করে গ্রামীণ জনপদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে। এক শিক্ষক জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমে গেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। গছানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী জানায়, সকাল দশটায় ক্লাস শুরু হয়। ছাতা নিয়ে আধাঘণ্টা সময় ধরে পায় হেটে বইপত্রসহ নিজেও বৃষ্টিতে ভিজে যেতে হয় স্কুলে । টানা বর্ষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিতে পড়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। জীবিকার তাগিদে এসব মানুষ রাস্তায় বের হলেও কর্মহীন হয়ে ঘুরছেন।
কাজ নেই বসে আছি সংসার কিভাবে চলবে এ চিন্তায় ব্যাকুল হয়ে আছি।